আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।
আজকের পোস্টে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে খুব সহজে আপনার ব্লগার (Blogger) সাইটে গুগল ম্যাপ (Google Map) যোগ করবেন।
যারা অনলাইন ব্যবসা, দোকান বা কোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট চালান, তাদের জন্য গুগল ম্যাপ এমবেড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি আপনার ভিজিটর বা কাস্টমারদের সরাসরি আপনার ঠিকানায় পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এখন আর আলাদা করে ফোনে দিকনির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন নেই — শুধু ব্লগের মধ্যে গুগল ম্যাপ বসিয়ে দিলেই কাজ শেষ। চলুন তাহলে শুরু করি ধাপে ধাপে পদ্ধতিটি।
Step – 1: গুগল ম্যাপে যান
প্রথমে আপনার ব্রাউজার বা মোবাইল অ্যাপে গিয়ে Google Maps খুলুন।
Step – 2: লোকেশন সার্চ করুন
গুগল ম্যাপের সার্চ বক্সে আপনার ব্যবসা বা পছন্দের লোকেশনের নাম লিখুন। যেমন — “Dhaka New Market” বা আপনার দোকানের নাম।

Step – 3: মেনু থেকে অপশন খুলুন
লোকেশন লোড হয়ে গেলে ম্যাপের উপরের দিকে থাকা মেনু থেকে Three Dot (⋮) আইকনে ক্লিক করুন।
Step – 4: ‘Share or Embed Map’ সিলেক্ট করুন
এখন একটি মেনু আসবে। সেখান থেকে Share or embed map অপশনটি বেছে নিন।
Step – 5: ‘Embed map’ এ যান
শেয়ার অপশন আসার পর দুইটি ট্যাব দেখবেন — Send a link এবং Embed a map। এখানে Embed a map ট্যাবে যান।
Step – 6: HTML স্ক্রিপ্ট কপি করুন
এখন একটি ম্যাপ প্রিভিউ দেখাবে এবং নিচে HTML কোড থাকবে। কোডের পাশে Copy HTML বোতামে ক্লিক করে কোডটি কপি করুন।
💡 নোট: এখানে আপনি ম্যাপের সাইজ Small, Medium, Large বা Custom সিলেক্ট করতে পারবেন। আপনার ব্লগ ডিজাইন অনুযায়ী সাইজ ঠিক করুন।

Step – 7: ব্লগারের পেজ/পোস্ট/টেমপ্লেট এডিটর খুলুন
এখন আপনার ব্লগার ড্যাশবোর্ডে যান এবং যেখানে ম্যাপ দেখাতে চান সেই পোস্ট বা পেজ এডিট করুন। যদি নতুন পোস্ট হয় তবে New Post-এ ক্লিক করুন।
Step – 8: HTML ভিউতে পেস্ট করুন
পোস্ট এডিটরে Compose view থেকে HTML view-এ যান। এরপর কপি করা গুগল ম্যাপের কোডটি আপনার পছন্দের স্থানে পেস্ট করুন।

Step – 9: পোস্ট/পেজ/টেমপ্লেট সেভ করুন
সবশেষে Save বা Publish করুন। এখন আপনার ব্লগে গুগল ম্যাপ দেখতে পাবেন।

কেনো গুগল ম্যাপ অ্যাড করবেন?
ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গুগল ম্যাপ এমবেড করার অনেক সুবিধা আছে। নিচে এর কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো —
1. কাস্টমারের জন্য সহজ নেভিগেশন
আপনার কাস্টমাররা সহজেই আপনার লোকেশন খুঁজে পাবে এবং সেখানে পৌঁছাতে পারবে।
2. বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি
লোকেশন দৃশ্যমান থাকলে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে গ্রাহকের আস্থা বাড়ে।
3. SEO তে উপকারিতা
লোকেশন ম্যাপ থাকলে স্থানীয় SEO তে সহায়তা হয়, ফলে আপনার সাইট লোকাল সার্চ রেজাল্টে ভালো অবস্থানে আসে।
4. দিকনির্দেশনায় সুবিধা
ম্যাপের সাথে “Directions” বোতাম থাকে, যা ক্লিক করলে গুগল ম্যাপ সরাসরি রুট দেখিয়ে দেয়।
5. মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী
মোবাইল ইউজাররা শুধু এক ট্যাপে ম্যাপ খুলে রিয়েল-টাইম লোকেশন ট্র্যাক করতে পারে।
ম্যাপের সাইজ এমনভাবে সেট করুন যেন মোবাইলেও ভালোভাবে দেখা যায়। ব্যবসার জায়গার সঠিক নাম গুগল ম্যাপে আপডেট করে রাখুন। যদি আপনার একাধিক শাখা থাকে, তাহলে সব লোকেশনের জন্য আলাদা পেজ বা পোস্ট তৈরি করুন। ব্লগারের টেমপ্লেটে কাস্টম CSS দিয়ে ম্যাপের বর্ডার বা শেডো সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারেন।
গুগল ম্যাপ যোগ করা ব্লগার সাইটের জন্য একদম সহজ এবং কার্যকর একটি কাজ। বিশেষ করে যারা ব্যবসা করছেন বা সার্ভিস দিচ্ছেন, তাদের জন্য এটি গ্রাহক পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ উপায়।
শুধু কয়েকটি ধাপ — লোকেশন সার্চ, কোড কপি, এবং ব্লগে পেস্ট — করলেই আপনার ভিজিটররা সরাসরি ম্যাপ দেখে সেখানে পৌঁছে যাবে।
আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।
আপনার অনলাইন যাত্রা হোক সফল এবং গ্রাহকের সাথে আপনার সংযোগ হোক আরও দৃঢ়।
upoakri post dhonnobad vai
Thanks for comment